শীতের বিকালে সাকিব আল হাসান যখন সমাবেশস্থলে পৌঁছান তখন তার চারপাশে উপচে পড়া উৎসুক জনতা। সেই ভিড় ঠেলেই সামনে এগিয়ে যান সাকিব, ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে অটোগ্রাফও দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে মাগুরা পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া ঈদগাহ মাঠে হয় মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিবের নির্বাচনি সমাবেশ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নৌকার মাঝি করেছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে সাকিবের মাগুরা শহরের কেশব মোড়ের বাড়িতে।
ক্রিকেট তারকা হিসেবে এমনিতেই সাকিবের জনপ্রিয়তা রয়েছে; ফলে ভোটের মাঠে তাকে এক নজর দেখতে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় ছিল উপচে পড়া।
বিকালে সাকিব যখন মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তার পরনে ছিল সাদা-নীলচে রঙের টি-শার্ট আর মেরুন রঙের জ্যাকেট। এ সময় তাকে ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানান ভোটাররা; কর্মী-সমর্থকরা ঘিরে রেখেছিলেন তাকে।
মঞ্চে ওঠার পর সাকিবের গলা ভরে যায় কর্মী-সমর্থকদের পরিয়ে দেওয়া গাঁদা ফুলের মালায়। এ সময় ভোটারদের উদ্দেশ্য হাত নাড়েন তিনি। মঞ্চে বক্তব্য চলাকালে ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন একটি নোটপ্যাড এগিয়ে দিলে তাতে অটোগ্রাফ দেন সাকিব।
সাকিব যখন বক্তব্য রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ততক্ষণে হাজার হাজার লোকে ভরে ওঠে সমাবেশস্থল।
পরে সাকিব তার বক্তব্যে ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই। সেজন্য আপনাদেরও আমাদের সাথে কাজ করতে হবে। আমি চাই আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকা মার্কায় ভোটপ্রদান করবেন এবং আমাদের জয়যুক্ত করবেন।
“আমি যদি জয়ী হতে পারি, আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি আমার জায়গা থেকে সর্বাত্নক চেষ্টা করব আপনাদের হয়ে কাজ করার।”
মাগুরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকি ইমামের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, যুগ্ম-সম্পাদক পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, যুগ্ম-আহবায়ক শাখারুল ইসলাম শাকিল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মাকুল, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আছাদুজামান কিশোর, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বিপু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাদিহ খান উপস্থিত ছিলেন।
খেলার মাঠ ছেড়ে রাজনীতির মাঠে আসা সাকিবের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছে প্রথম থেকেই। তার নির্বাচনি এলাকার অনেক মানুষ সাকিবকে সহযোগিতার কথা জানালেও কেউ কেউ তার রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে দ্বিমতও পোষণ করেছেন।
নির্বাচনের আচরণবিধি না মেনে প্রচার শুরুর নির্দিষ্ট তারিখের আগেই জনসংযোগ, শোভাযাত্রা করায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে ব্যাখাও দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থীর।