“শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অ্যম্বুলেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ যানাবাহন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।”
Published : 16 Jul 2024, 02:27 PM
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে নগরীর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নগরীর নথুল্লাবাদ গোলচত্বরের সামনে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করে বলে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি এসএম মাকসুদ আলম জানিয়েছেন।
সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নিয়েছে বেসরকারি অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় ও ইনফ্রা পলিটেকনিকসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি মাকসুদ বলেন, “শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অ্যম্বুলেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ যানাবাহন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।”
শিক্ষার্থীরা ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ বিক্ষোভ করছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, “তবে সরকারি যানমাল রক্ষায় এবং যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
বিএম কলেজ শিক্ষার্থী ও কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক হুজাইফা রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর প্রতিবাদে নথুল্লাবাদ এলাকায় তাদের অবরোধ কর্মসূচি চলছে।”
হামলার প্রসঙ্গে বিএম কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এসএম সাউদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কতিপয় শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে শ্লোগান দিচ্ছিল। তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরীর আমতলা এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
তবে তারা কিছু সময় পর সড়ক থেকে সরে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এখন তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
অপরদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ হামলা করলে তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলবেন বলে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন প্রচার শুরু করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি বিভাগের ৪৫টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীর লেখেন- আমাদের ব্যাচের কেউ যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে বা হয়, তাহলে উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে বা তাদেরকে ব্যাচের সামগ্রিক যেকোনো প্রকার কাজ হতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
লোকপ্রশাসন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে একই শ্রেণীকক্ষে বসতে রাজি নই।” ওই শিক্ষার্থী তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, “আমাদের সহপাঠী কেউ যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। তাহলে তাদের আমরা তাদের ব্যাচ থেকে বয়কটের সিদ্বান্ত নিয়েছি। আমাদের কোনো সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ক্লাস করার মত রুচি নেই।”