জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব।
Published : 12 Jan 2025, 07:54 PM
রংপুরের মিঠাপুকুরে বাসস্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ চারজন আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুরে মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “শনিবার রাতে উপজেলার জায়গীরহাট বাস স্ট্যান্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।”
স্থানীয়রা বলেন, জায়গীর বাস স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ৭ নম্বর লতিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল হক ফজলু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে কোন্দল চলছিল।
রাতে জাহাঙ্গীর আলম তার কর্মীদের নিয়ে জায়গীরহাট ওভারব্রিজের পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়ে মিছিল করেন।
মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর ফজলুল হক ফজলুর সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ওই এলাকাসহ আশপাশে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এসময় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
লতিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, “মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে ফজলু এবং তার লোকজন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের বিভক্ত করতে চাইছেন।”
অন্যদিকে লতিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল হক ফজলু বলেন, “বিএনপির দুঃসময়ে দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে সুবিধা নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। ৫ অগাস্টের পর খোলস পাল্টিয়ে আবার দলে ভিড়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন তিনি।”
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাস স্ট্যান্ড নিয়ে মোটর শ্রমিকদের মাঝে দীর্ঘদিনের কোন্দল থেকেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অতি উৎসাহী বিএনপির কেউ জড়িত থাকলে, বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের আহত একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”