Published : 06 Aug 2024, 01:14 PM
খুলনার কয়রা উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজার পুড়ে যাওয়া মরদেহ তার বাসভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কয়রা সদরের ওই বাসভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহসিন রেজার ছোট ভাই খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জি এম মোহসিন রেজার বাসভবনে ঢুকে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে পুড়ে যায় মৃতদেহটি।
মামুন বলেন, “বড় ভাইয়ের মরদেহ পেয়েছি। মরদেহ আমাদের পৈতৃক বাড়ি উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে নেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়রার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিজয়োল্লাস শুরু করেন।
বেলা ৩টার দিকে আনন্দ মিছিল থেকে ভাঙচুর চালানো হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে। আগুন দেওয়া হয় খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর কয়রা সদরের বাসভবনে।
পরে কয়রা সদরে উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজার বাসায় যায় আন্দোলনকারীরা। তখন বাসার ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হলে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয় বলে অভিযোগ উঠে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ লোকজন আরও সংগঠিত হয়ে মোহসিন রেজার বাসায় হামলা চালায়। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে লোকজন । পরে বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
নিহত মোহসিন রেজার চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, “সোমবার বিকালে আমরা খবর পাই, মোহসিন ভাইকে মেরে তার উপজেলা সদরের বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন থাকায় আমরা সেখানে যেতে পারিনি।
“পরে সন্ধ্যায় আমরা যখন মোহসিন ভাইয়ের বাড়িতে পৌঁছাই, তখনো ভেতরে আগুন জ্বলছিল। ঘরের বারান্দায় পড়েছিল তার মরদেহ। কোনো রকমে পানি দিয়ে আগুনের তাপ কমিয়ে মরদেহ বের করে এনেছি। তার দোতলা বাসভবনের অনেকাংশ পুড়ে গেছে।”