একদিন আগে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ওই সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
Published : 03 Dec 2024, 10:35 PM
শেরপুর সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক ইকবাল মাহমুদ আগামী ৯ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন বলে জানান শেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম খান।
এর আগে সোমবার রাতে নিহত ওয়াসিম আকরামের (২৬) ভাই মো. জসিম মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ওয়াসিম আকরামের চাচাতো ভাই রঞ্জুকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ বীর, সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন।
কারাগারে যাওয়ারা হলেন- সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের প্রয়াত বাদশা মিয়ার ছেলে মো. ময়না মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বাসেদ মিয়া (২২), একই গ্রামের প্রয়াত কালু খাঁনের ছেলে মো. আলম খাঁন (৫৫), জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী মোছা. কমলা আক্তার (৩৫), পাশের চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আনছার আলীর স্ত্রী মোছা. হালিমা খাতুন (৫৫), একই গ্রামের প্রয়াত আনছার আলীর ছেলে মো. আজিম আলী (৩৬) এবং নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাহেব আলীর ছেলে মো. শামীম আহম্মেদ (২৮)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার এসআই মো. তারেক হাসান জানান, সেনা সদস্য ওয়াসিম আকরাম হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ময়না মিয়া ও বাসেদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক ৯ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার সকালে সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল হাসানের ছেলে সেনা সদস্য ওয়াসিম আকরাম ধান কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
চাচাতো ভাই রঞ্জুর সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।