আমদানির ঘোষণার দুইদিনের মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেছে পেঁয়াজ ভরতি ২১টি ট্রাক; প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে অর্ধশতাধিক ট্রাক।
স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, সোমবার বিকাল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১১ ট্রাকে ২৮৭ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে। মঙ্গলবার সকালে ঢুকেছে ১০ ট্রাক। এ নিয়ে ২১ ট্রাক পেঁয়াজ এর মধ্যে ভারতের ঘোজডাঙ্গা বন্দর দিয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।
আরও অর্ধশতাধিক পেঁয়াজ ভরতি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি। বিকালের মধ্যে সেসব ট্রাক ভোমরা বন্দর দিয়ে ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মাকসুদ খান বলেন, যেহেতু সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বিধায় পুরাতন এলসি যাদের করা ছিল; তারা এলসি পরিবর্তন করে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
আমদানিকারক আমীর হামজা বলেন, “পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে আমদানিকারকদের সম্পর্ক নেই। মূল্য বৃদ্ধিসহ সব সংকটে জড়িত বাজারের মধ্যসত্বভোগীরা।”
অন্যদিকে পেঁয়াজ আসার খবরে সাতক্ষীরার বিভিন্ন বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে আসায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছে, পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দাম আরও কমে আসবে।পেঁয়াজ সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।
সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের পেয়াজ ব্যবসায়ী আব্দুল বারী জানান, রোববার পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি ছিল। সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সোমবার থেকে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে।
আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে বলে এই ব্যবসায়ীর ধারণা।
পেঁয়াজের দর রোজার ঈদের পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছিল। এক মাসের ব্যবধানে তা ৩০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় উঠে যায়। গত কয়েকদিন ধরে ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছিল। এ অবস্থায় সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন