মামলার অভিযোগ, কনফিডেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ছয়জন প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
Published : 02 Oct 2022, 11:36 PM
অর্থ আত্মসাতের মামলায় কনফিডেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বরিশালের একটি আদালত।
রোববার জেলার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. শামীম আহম্মেদ এ আদেশ দেন বলে বাদীর আইনজীবী মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজন হাজির হলে আদালত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ায়। কিন্তু অস্থায়ী জামিনে থাকা মামলার ১ নম্বর আসামি রেজাউল করিম আদালতে হাজির হননি। তাই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলার নথির বরাতে সাইফুল ইসলাম জানান, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর বাঁধ নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স গ্রুপ। ওই কাজের সাব ঠিকাদার ছিলেন বরিশাল নগরীর রূপাতলী হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা।
আইনজীবী আরও জানান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল পওর বিভাগের আওতায় কীর্তনখোলা নদীর তীর সংরক্ষণে ৩০ কোটি টাকার ব্লক বসানোর জন্য ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল কনফিডেন্স গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জুডিয়াক ড্রেজিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেন সুরুজ মোল্লা।
“শর্ত ও তফসিল অনুযায়ী কাজ শেষে চার কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার ১২ টাকা বকেয়া থাকে। কিন্তু আসামিরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সুরুজ মোল্লাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।”
সুরুজ মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কনফিডেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ছয়জন প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে চলতি বছরের ২৭ মার্চ আদালতে মামলা করি।”
মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ ডিসেম্বর বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক শিশির কুমার পাল জানান।