Published : 23 Dec 2024, 11:27 PM
চাঁদপুরের মেঘনায় সারবাহী জাহাজে ‘ডাকাতির’ ঘটনায় এক কর্মচারীর শ্বাসনালী কেটে গেছে; তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে আল বাখেরাহ জাহাজ থেকে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত আরো তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুতর অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাকি একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চাঁদপুর নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান।
গুরুতর আহত ওই কর্মচারীর নাম জুয়েল রানা (২৩)। তিনি জাহাজে সুকানি ছিলেন। ফরিদপুর সদর উপজেলার সেকেন খালাসির ছেলে তিনি।
জুয়েল রানাকে ঢাকা মেডিকেলের নাক, কান, গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
তাকে রাত ৯টায় ভর্তি করা হয় জানিয়ে বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা সিরাজ সালেক বলেন, “ওই যুবকের শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিকভাবে আর্টিফিশিয়াল একটি টিউব বসানো হয়েছে। এ মুহূর্তে তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।”
মালিক ফোনে জাহাজের কাউকে পাননি, অন্যরা গিয়ে দেখেন রক্তমাখা লাশ
মেঘনায় জাহাজে মিলল ৫ গলাকাটা লাশ, হাসপাতালে আরো ২ জনের মৃত্যু
জাহাজে সাত খুন: রাত ৮টার পরও সব 'ঠিকঠাক ছিল'
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুয়েল রানার ভাই লিটন খালাসিও এসেছেন। তিনি বলছিলেন, জুয়েল চার বছর ধরে ওই জাহাজে সুকানির কাজ করতেন।
জুয়েলের সঙ্গে চাঁদপুর থেকে একই অ্যাম্বুলেন্সে এসেছেন নৌ পুলিশের এএসআই রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জুয়েল কোনো কথা বলতে পারছেন না। কারণ, তার শ্বাসনালী কেটে গেছে। আমরা তার কাছে কিছু জানতে চেয়েছিলাম, তিনি শুধু একটি কাগজে নিজের নাম আর তারা সেখানে কতজন ছিলেন, সেটাই লিখে দিয়েছেন। আর কিছু লেখার মত অবস্থা তার ছিল না।”
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। একজনের নাম জানা যায়নি। তাদের সবার বাড়ি নড়াইল জেলায় বলে জানায় পুলিশ।
লাইটারেজ জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কর্মকর্তা আতাউল করিম রঞ্জু বলেন, ইউরিয়া সার বোঝাই করে জাহাজটি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে বিসিআইসির ডিপোতে যাবার কথা ছিল।