সংঘর্ষের পর বাজারে মুখোমুখি অবস্থান নেন দুই দলের নেতাকর্মীরা।
Published : 24 Mar 2025, 11:21 PM
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এনসিপির দাবি, বিএনপির ‘হামলায়’ তাদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সংঘর্ষে তাদেরও ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সন্ধ্যার দিকে; উপজেলার জাহাজমারা বাজারে।
মারামারির পর হান্নান মাসউদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, তারা সেখানে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন মিছিল নিয়ে তাদের মিটিংয়ে ঢুকে যায় এবং হামলা চালায়। এতে আহত হন তিনিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে তিনজনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়েছে।
হান্নান মাসউদের অনুসারীরা বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি জাহাজমারা বাজারে পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বাজারের পশ্চিম দিক থেকে একটি মিছিল নিয়ে এসে বিএনপির লোকজন হামলা চালায়।
তারা বলেন, হামলাকারীরা হান্নান মাসউদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের ধাওয়ায় হামলাকারীরা চলে যায়।
হাতিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল্লাহিল মজিদ নিশান বলছেন, সন্ধ্যার আগে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক অব্দুর রবকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এর প্রতিবাদে জাহাজমারা বাজারে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন বিএনপির নেতকর্মীরা।
“মিছিলটি পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে গেলে হান্নান মাসউদের পথসভার সামনে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজেনা দেখা দেয়।”
তিনি বলেন, “এনসিপির হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”
পুলিশ বলছে, মধ্যরাতেও বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীরা বাজারের দুপাশে অবস্থান করছিলেন।
হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে এনসিপির নেতাকর্মীরা ছিলেন বাজারের পূর্ব পাশে। পশ্চিম পাশে ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
উভয় পক্ষই মাঝে মাঝে স্লোগান দিচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে উভয়পক্ষের মাঝখানে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অবস্থান নেন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, দুই পক্ষ বাজারের দুই দিকে অবস্থান করছে। মাঝখানে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা রয়েছেন। দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন তারা।