“তারেক রহমান ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারের সঙ্গে আছেন। সব সময় তিনি খোঁজ খবর রাখছেন।”
Published : 17 Mar 2025, 03:50 PM
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আট বছরের শিশুটির পরিবারকে ঈদের উপহার দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশেষ ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকালে তার পাঠানো উপহারটি পরিবারের হাতে তুলে দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হালিমা নেওয়াজ আরলি।
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল- নতুন পোশাক, খাদ্য ও ঈদসামগ্রী।
বিএনপির ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আরলি বলেন, “তারেক রহমান ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারের সঙ্গে আছেন। সব সময় তিনি খোঁজ-খবর রাখছেন। ঈদুল ফিতরের উপহার পাঠিয়েছেন তিনি। শুধু এটা নয়, সারা বাংলাদেশে নারী নির্যাতনে ভিকটিমরা যাতে আইনি সহায়তা পায় সেজন্যে সেল করে দিয়েছেন। নারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান খোঁজ রেখেছেন, শিশুটির মা তিন দিন ধরে একটা কাপড় পরে আছেন। তা দেখে তিনি মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের মাধ্যমে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন। একটু হলেও ভালো কাটুক তাদের ঈদ।”
আর্তনাদ থামছে না মাগুরার শিশুটির মায়ের, শোকে পাথর বাবা
মাগুরায় শিশুটির বাড়িতে বিএনপি নেতারা, দিলেন সহযোগিতার আশ্বাস
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন, মাগুরা জেলা বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন।
মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। সেই খবরে সারা দেশে তৈরি হয় ক্ষোভ। এ ঘটনায় শিশুটির মা ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- শিশুটির ভগ্নিপতি সজীব হোসেন (১৮) ও বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), সজীবের অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাই (১৭) এবং তাদের মা জাবেদা বেগম (৪০)। তাদের চারজনই কারাগারে আছেন।
নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
শোকাচ্ছন্ন মাগুরার জারিয়া গ্রাম
সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় পৌঁছাল শিশুর মরদেহ
পরে ৭ মার্চ রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ৮ মার্চ শিশুটিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর জানিয়েছে।
বিকালে শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরা জেলা স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের নোমানী ময়দানে এবং পরে তার গ্রামের বাড়ি জারিয়া গ্রামে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাত ৮টার দিকে তাকে উপজেলার সোনাইকুণ্ডি গ্রামের দাফন করা হয় বলে সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পান্না খাতুন জানান।