কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা এক উদ্যোক্তার দুই পা থেঁতলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২২ মে রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর সড়কের নাতবাড়ির সামনে এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী মামলা করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উপরন্তু সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে।
ভুক্তভোগী উত্তম দেবনাথ (৩৭) উপজেলার রহিমপুর দড়িকান্দী গ্রামের মৃত সুভাষ দেবনাথের ছেলে। তিনি মাশরুম চাষি ও ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার শেরেবাংলা নগর জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুর্নবাসন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুরুতর অসুস্থ থাকায় ঘটনার পাঁচদিন পর ২৭ মে মুরাদনগর থানায় হেলাল চৌধুরীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন উত্তম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, হেলাল (৪৪) কিছুদিন ধরেই উত্তমের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। কিন্তু উত্তম সেই চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন হেলাল।
গত ২২ মে গভীর রাত ১টায় স্থানীয় বাসিন্দা প্রবাসী মামুনকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন উত্তম। পথে হেলালসহ কয়েকজন অস্ত্র দিয়ে পথ আটকায়। পরে তারা উত্তমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুই পা থেঁতলে দেয় এবং উত্তমের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ও ৪৫ হাজার টাকার একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আহত উত্তম দেবনাথ মোবাইল ফোনে বলেন, “হেলাল বেশ কিছুদিন ধরে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলো। চাঁদা দিতে না পারায় আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। পরিবারে আমিই উপার্জনক্ষম ছিলাম। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার আর কিছু বলার নেই।“
মুরাদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আল-আমিন বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, “হামলাকারী ডিশ হেলাল এখন টাকা কামিয়ে হয়েছেন হেলাল চৌধুরী। টেন্ডার, মাদক ও চাঁদাবাজী করাই হচ্ছে তার পেশা।
“দুই লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে উত্তমের দুটি পা ভেঙে দিয়েছে তারা। বাম পায়ে অস্ত্রোপচার সফল হলেও ডানপাটা কেটে ফেলতে হবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।”
ঘটনার পর পরই হেলাল চৌধুরী এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিল সাংবাদিকদের বলেন, মামলার আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।