দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধের জেরে এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই পক্ষের লোকজন।
Published : 13 Apr 2024, 11:46 AM
মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুই পক্ষের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামে থেমে থেমে এই সংর্ঘষ চলে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন রাব্বি (১৯) ও পারভেজ (২০)। তাদের প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে ঢাকা নেওয়ার পথে প্রাণ হারান পারভেজ।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, খাসকান্দি ও ছোট মোল্লা কান্দি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে মামুন হালদার-নজির হালদার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আহমদ পক্ষের লোকজনের বিরোধ চলছিল। এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারও বিবাদে জড়ায় দুই পক্ষ। এ সময় গুলি, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণে গ্রাম দুটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০ থেকে ১২টি বসতবাড়ি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রাম দুটির সাধারণ মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, দুই পক্ষই এলাকায় আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তাদের একজন একসময় আওয়ামী লীগের পদে থাকলেও এখন কারো কোনো পদ নেই।
আহমদ গ্রুপের আহমদ বলেন, “শুক্রবার রাতে মামুন হালদারের ভাই সেলিম হালদার গ্রুপের লোকজন কর্মী সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্চুর চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
“এ সময় আমার কর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের উপর গুলি ছোড়ে। এতে পারভেজ ও রাব্বি গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বাড়িঘর।”
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন মামুন হালদার। তিনি বলেন, “শুক্রবার বিকাল থেকেই আমাদের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল আহমদ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা।
“পরে রাতে আমার লোকজনের বাড়িঘরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। এতে আমার ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে।”
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে দাবি করে সদর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গ্রাম দুটিতে পুলিশি অভিযান চলছে। যারাই ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।