চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শিলাবৃষ্টির সময় রেকর্ড করা বড় শিলার আয়তন ছিল ১ সেন্টিমিটার।
Published : 06 May 2024, 09:28 PM
মাসজুড়ে তাপপ্রবাহের পর কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গাবাসী।
সোমবার বেলা ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে ৪টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় প্রথম গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরে। এরপর ৪টা থেকে নামে মুষলধারে। এতে কেটে গেছে ভ্যাপসা গরম; প্রশান্তি নেমেছে জনজীবনে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪ মিলিমিটার।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। ঝড়ও ওঠে। শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। কোনো কোনো এলাকায় শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
মাঝে কিছুটা বিরতি দিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানো এবং আকাশের গর্জে উঠার শব্দ কানে আসে।
ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত হলেও কোথাও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে যেসব কৃষক এখনো মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেননি তারা আছেন দুশ্চিন্তায়। শিলাবৃষ্টিতে মাঠে থাকা পাকা ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
আলমডাঙ্গার জেহালা গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জানান, তিনি আগেই তার মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। যারা এখনো কাটতে পারেননি তাদেরও খুব বেশি ক্ষতি হবে না। শিল পড়েছে খুবই কম।
চুয়াডাঙ্গার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুসলেউদ্দিন বলেন, “শিলাবৃষ্টি খুব বেশি হলে ক্ষতির ভয় ছিল। কিন্তু কম হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হবে না বরং বৃষ্টি না হওয়ায় পাট চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। বৃষ্টিতে পাট চাষে সুবিধা হবে।”
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, শিলাবৃষ্টির সময় রেকর্ড করা বড় শিলার আয়তন ১ সেন্টিমিটার।
তিনি বলেন, পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই চুয়াডাঙ্গায় ছিল তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রিতে উঠে যাওয়ায় কষ্ট পেতে হয়েছে মানুষ ও প্রাণিকূলকে। মানুষ ও প্রকৃতি বৃষ্টির জন্য প্রতীক্ষায় ছিল। জেলায় বৃষ্টির জন্য নামাজ-দোয়া করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় চুয়াডাঙ্গায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল।