মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
Published : 08 Feb 2024, 05:34 PM
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ছেলেকে মারধরের ঘটনায় দুই ইন্টার্ন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবারের এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহম্মদ বলেন, “তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক বরখাস্ত থাকবেন। তারা হলেন- ফরহাদ হাসান ও আলমগীর হোসেন।”
তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবারই তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আরও কিছু কাজ আছে। সেগুলো সম্পন্ন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বুধবার দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কক্ষে সুমন পারভেজ রিপন (৩০) নামের এক যুবককে বেধড়ক পেটান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রিপনের মা পিয়ারা বেগম (৬০) ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
রিপোর্ট দেখানোকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জের ধরে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাকে পেটান। ভুক্তভোগী রিপনের বাড়ি রাজশাহী নগরীর বোসপাড়া মহল্লায়।
তাকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
রামেক হাসপাতালে রোগীর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে
এদিকে, হাসপাতালে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ পুলিশ নেয়নি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগি সুমন পারভেজ রিপন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন নগরীর রাজপাড়া থানায়। কিন্তু পুলিশ তার অভিযোগ নেয়নি।
তবে অভিযোগ না করেই রিপন চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন থানার ওসি রফিকুল হক।
তিনি বলেন, “ছেলেটা এসে বলল যে, সে অভিযোগ করবে। আমরা বললাম, অভিযোগ নেব। সমস্যা নাই। পরে সে বলল, তার মাকে অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাবেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। এটা শুনে আমি হাসপাতালে ফোন করলাম। হাসপাতাল থেকে আমাকে জানিয়েছে যে, তার মাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পরে আমি একটা মিটিংয়ে যাই। এসে ছেলেটাকে আর পাইনি।”