ভোগের নয়, ত্যাগের রাজনীতি শিখেছি: রাষ্ট্রপতি

আমিনুল ইসলাম বাদশা, প্রসাদ রায়, অমূল্য লাহিড়ীসহ প্রখ্যাত বামপন্থি রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে ভোগের নয়, ত্যাগের রাজনীতির পাঠ নিয়েছেন বলে জানালেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

চারদিনের পাবনা সফরের দ্বিতীয়দিন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে নিজের রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনের স্মৃতিচারণ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “বিভিন্ন সময়ে এসব বাম নেতাদের সঙ্গে কারাগারে থেকেছি। তাদের কাছ থেকে নানাকিছু শিখেছি। ভোগের রাজনীতি শিখিনি, ত্যাগের রাজনীতি শিখেছি। তাই তো আজ আল্লাহ আমাকে এই চেয়ারে বসিয়েছেন। কোনো উপকারের বিনিময়ে কারো কাছ থেকে পয়সা তো দূরের কথা; কখনো একটা লাউ-কদুও নিইনি।”

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেসক্লাবে এসে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান প্রেসক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সাবেক সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান।

পরে রাষ্ট্রপ্রধান ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় প্রেসক্লাব ঘিরে তার নানা স্মৃতি তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, “আমি পাবনা প্রেসক্লাবের জীবন সদস্য এবং ২২তম সদস্য। আবার দেশেরও ২২তম রাষ্ট্রপতি।”

রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি দৈনিক বাংলার বাণীতে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। প্রেসক্লাবের খোলা ছাদে বসে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন।

সভার শুরুতে প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতিসহ দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাতও করা হয়।

এর আগে সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে স্কয়ার সাইন্স অ্যান্ড লাইফ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন। বিকালে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন।