নেত্রকোণায় প্রভাব খাটিয়ে ইউপি সদস্য বাবা তার ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে দাবি মেয়েটির স্বজনদের।
Published : 29 Jun 2024, 04:19 PM
নেত্রকোণার মদন উপজেলায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে এলাকাবাসী।
তবে প্রভাব খাটিয়ে ইউপি সদস্য বাবা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে দাবি ওই কিশোরীর স্বজনদের।
শুক্রবার রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের এক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার।
আটক জুবায়ের হোসেন তৌকির (২০) কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন রিটনের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী জানান, বিকালে ওই কিশোরীর বাবা-মা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সন্ধ্যার পর বসতঘরে সে পড়ালেখা করছিল। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ তৌকির ঘরে প্রবেশ করে মেয়েটিকে ধর্ষণচেষ্টা চালায়।
এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে তৌকিরকে আটক করেন। ছেলেকে আটকের খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর তার বাবা ইউপি সদস্য রিটন লোকজন নিয়ে জোর করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
মেয়েটির পরিবার গরীব হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য রিটন চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মেয়েটির বাবা বলেন, “আমরা তাকে (তৌকির) পুলিশের হাতে তুলে দিতাম। কিন্তু রাতেই রিটন মেম্বার লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের হাত থেকে তার ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। আমার মেয়ের ওপর চালানো এই নির্যাতনের বিচার চাই।”
মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিভিন্ন সময় তৌকির ওই মেয়েটিকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিত। এ নিয়ে ইউপি সদস্য রিটনের কাছে কয়েকবার বিচার দেওয়া হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
ইউপি সদস্য জাকির হোসেন রিটন বলেন, “আমার ছেলের ভুলের জন্য গ্রামবাসীসহ মেয়েটির পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আর কখনো যাতে সে এমন কাজ না করে তার জন্য ছেলেকে শাসন করব।”
মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”