আইপিএল
এক মাস আগে ক্রিকেটকে বিদায় বলা অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যানকে কোচিং স্টাফে যোগ করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
Published : 01 Jul 2024, 06:59 PM
খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেও, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে সম্পর্ক এখনই ছিন্ন হচ্ছে না দিনেশ কার্তিকের। নতুন দায়িত্বে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে থাকছেন তিনি। অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে ভিরাট কোহলি, ফাফ দু প্লেসিদের ব্যাটিং কোচ ও মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আইপিএলের দলটি।
২০১৫ সালে এক মৌসুমের জন্য বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেন কার্তিক। এরপর ২০২২ সালের মেগা নিলাম থেকে তাকে দলে টানে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। টানা তিন মৌসুম দলটির প্রতিনিধিত্ব করার পর গত আসর শেষে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
আইপিএলের সবশেষ আসরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন কার্তিক। ১৮৭.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ১৩ ইনিংসে রান করেন ৩২৬। টি-টোয়েন্টিতে ফিনিশারের ভূমিকায় নিজেকে মেলে ধরেন বেঙ্গালুরুর হয়েই। সব মিলিয়ে দলটির জার্সি গায়ে ৬০ ম্যাচে ৯৩৭ রান করেন তিনি ২৪.৬৫ গড় ও ১৬২.৯৫ স্ট্রাইক রেটে।
ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বেঙ্গালুরুর হয়ে ভারতীয়দের মধ্যে তার চেয়ে বেশি রান আছে কেবল ভিরাট কোহলির। এই দলের হয়ে গ্লাভস হাতে ৩৬টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি ৯টি স্টাম্পিং করেছেন কার্তিক।
খেলোয়াড় জীবনের ইতি টানা কার্তিক এখন গড়তে যাচ্ছেন জীবনের নতুন অধ্যায়। শুরুতেই পাশে পেলেন তিনি পুরোনো দল বেঙ্গালুরুকে। পেশাদার পর্যায়ের ক্রিকেটে কোচিং করানোর জন্য মুখিয়ে থাকার কথা বললেন ৩৯ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার।
“পেশাদার পর্যায়ে কোচিং করানো হবে খুবই রোমাঞ্চকর। এটি এমন কিছু, যা জীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে বেছে নিতে আমি দারুণ উত্সাহী। আশা করি, খেলোয়াড় হিসাবে পাওয়া অনেক অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি দলের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে এবং মান যোগ করতে পারব।”
কার্তিকের কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা বলতে, গত জানুয়ারিতে ভারত সফরে ইংল্যান্ড লায়ন্সের কোচিং স্টাফে ছিলেন তিনি। সফরকারীদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করার জন্য প্রথম ৯ দিনের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
বেঙ্গালুরুতে কার্তিক কাজ করছেন প্রথম কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, বোলিং কোচ অ্যাডাম গ্রিফিথের সঙ্গে।
২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের প্রতিটি সংস্করণে অংশ নেওয়া সাতজন খেলোয়াড়ের একজন কার্তিক। বেঙ্গালুরুসহ আইপিএলের মোট ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ২৫৭টি ম্যাচ খেলে ৪ হাজার ৮৪২ রান করেছেন তিনি ২৬.৩১ গড় ও ১৩৫.৩৬ স্ট্রাইক রেটে। নামের পাশে আছে ২২টি ফিফটি। উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল করা মাহেন্দ্র সিং ধোনির (১৯০) পরই তিনি (১৭৪)।
২০০৪ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর ভারতের হয়ে ২৬ টেস্ট, ৯৪ ওয়ানডে ও ৬০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার রান ৩ হাজার ৪৬৩।