দূরপাল্লা রুটে বাস চলাচল করলেও যাত্রী সংখ্যা কম হচ্ছে।
Published : 10 Sep 2024, 08:09 PM
নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অভ্যন্তরীণ আটটি রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল।
তার দাবি, মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার পরও নিয়মিত চলাচল করছে। ফলে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পারভেজ নামের এক বাস শ্রমিক থ্রি হুইলারের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুর একটা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।
মোস্তফা কামাল বলেন, “প্রশাসনকে আগে না জানিয়ে কর্মবিরতিতে যাওয়া ঠিক হয়নি। তাই শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করছি। বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
তবে দূরপাল্লা রুটে বাস চলাচল করলেও যাত্রী কম হচ্ছে।
বরিশাল জেলা বাস গ্রুপের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী বলেন, “শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেছে; আমরা করিনি। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলে বাস মালিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরাও চাই, থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ হোক। বিষয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের জন্য প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি।”
এ অবস্থায় থ্রি-হুইলার শ্রমিকরাও যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, বাস শ্রমিকরা জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল আদালত নিষিদ্ধ করেছে। আইন না মেনেও তারা যেমন-তেমনভাবে মহাসড়কে চলাচল করে। তাছাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকেও তারা থ্রি-হুইলার যাত্রী তুলে নেয়। এর প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়। মারধর ও নিরাপত্তার অভাবে তারা কাজে যোগ দেবেন না। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি শ্রমিকদের।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ করলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলাচল করে। মহাসড়কে থ্রি-হুইলারের কারণে নগরীর কাশিপুর, গড়িয়ারপাড়, রহমতপুর, উজিরপুরের ইচলাদি, জয়শ্রী, গৌরনদীর বাটাজোর, মাহিলারা, গৌরনদী বাস টার্মিনাল, টরকী, বার্থী এলাকা পার হতে ভোগান্তির শেষ থাকে না।
আবার বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত যেতে নথুল্লাবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এসব মহাসড়কে চলাচল করা থ্রি হুইলার আকস্মিক ঘুরিয়ে ফেলা, সড়কের মাঝে চলে আসা, নয়তো সাইড লেন থেকে আকস্মিক মহাসড়কে উঠে আসে। এতে বাস চালকরা আকস্মিক ব্রেক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ফলে ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
বরিশাল মহানগরের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) রুনা লায়লা বলেন, “এটা আমাদের বিষয় নয়। শুনেছি, শ্রমিক ও ছাত্ররা মিলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সমন্বয়ক হুজাইফা রহমান বলেন, “কারা গিয়েছে জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”