ঢাকা থেকে জয়পুরহাটগামী চলন্ত একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী।
Published : 19 Jun 2022, 10:27 AM
শনিবার বিকালে জেসমিন বেগম নামের ওই নারী নওগাঁর আত্রাই স্টেশনে ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর সন্তান প্রসব করেন বলে জয়পুরহাট রেল স্টেশনের মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক জানান।
২৬ বছর বয়সী ওই নারী জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মোলামগাড়ীহাট-নানাহার গ্রামের তহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
বর্তমানে নবজাতক ও মা জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনা জানাজানির পর উৎসুক জনতা মা ছেলেকে দেখতে সেখানে যাচ্ছেন।
জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল জানান, হাসপাতালে মা ও শিশুকে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে; তারা সুস্থ্ আছেন।
স্টেশন মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেসমিন স্বামী তহিদুল আনসার বাহিনীতে চাকুরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। জেসমিনও ঢাকায় থাকেন স্বামীর সঙ্গে। জেসমিনের প্রসবের তারিখ ছিল আরও সাতদিন পর। তিনি সকালে স্বামীর সঙ্গে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে আন্তঃনগর একতা ট্রেনে করে জয়পুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ট্রেনটি কমলাপুর থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদী আসার পর জেসমিনের প্রসব ব্যাথা শুরু হয়।
জেসমিন বলেন, তার প্রসব ব্যাথা ওঠার পর ট্রেনে অবস্থানকারী রেল পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানকে জানানো হয়। তিনি তখনই ওই ট্রেনের কয়েক জন নারীকে দিয়ে ওই কামরায় কাপড় দিয়ে ঘিরে কৃত্রিম প্রসব কক্ষ তৈরি করে দেন। এ ছাড়া বিষয়টি জানার পর একই ট্রেনের যাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. রাফসান জানি চিকিৎসা সেবাসহ প্রসব কাজের তদারকি করেন। স্বাভাবিক চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তিনি।
এ সময় রাফসান জানিসহ অন্যান্যদের সহযোগিতা আর প্রচেষ্টায় চলন্ত ট্রেনেই ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন বলে জানান জেসমিন।
পরে জয়পুরহাটে ট্রেনটি বিরতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেসমিনকে হুইল চেয়ারে করে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে স্টেশন মাস্টার জানান।
এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে ডা. রাফসানজানি বলেন, “এমন বিপদের সময়ে সকলের মানবিক সহযোগিতা বড়ই প্রয়োজন হয়, যা কমবেশি সবাই করেছেন। স্রষ্টার কৃপায় মা ও শিশু সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।”