সুনামগঞ্জে বন্যায় ১৯৫ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি

সুনামগঞ্জে গত দশদিনের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2022, 06:03 PM
Updated : 20 May 2022, 06:03 PM

জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকটি সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভেসে গেছে। তাছাড়াও চারটি সেতুর সংযোগস্থল ধসে গেছে। এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার প্রাথমিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বন্যা প্রলম্বিত হলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক ও নিয়ামতপুন তাহিরপুর সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিয়ামতপুর-তাহিরপুর সড়কের কয়েকটি স্থানে ভেঙে ভেসে গেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও অনেক রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও সেতু পানির নিচে ডুবে আছে। সেতুর সংযোগস্থল ডুবে আছে। এ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক ও নিয়ামতপুর আনোয়ারপুর সড়ক বন্যায় ডুবে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হবে। তবে পানি কমলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
বিশ্বম্ভরপুরের ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা টিটো দাস বলেন, তাহিরপুর-নিয়ামতপুর সড়কটি এমনিতেই ভাঙাচোরা। গত কয়েকদিনের বন্যায় সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ধসে গেছে। পানি কমলে এই সড়ক দিয়ে যোগাযোগ কঠিন হয়ে যবে।

দোয়ারাবাজার উপজেলার নৈনগাও গ্রামের তরুণ সমাজসেবী দিলোয়ার হোসেন বলেন, “উপজেলার বহু রাস্তাঘাট এখনও ডুবে আছে। বন্যায় আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকা ছাতক ও দোয়ারাবাজারের হাজার হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুটি উপজেলার সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির নিরুপনের কাজ করছি।”