সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত অতিক্রম করে সাতটি বন্য হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে; এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রামজুড়ে।
Published : 06 Feb 2022, 01:41 PM
রোববার সকালে হাতিগুলো উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গোপটিলা জঙ্গলে অবস্থান নেয়। তার আগে হাতির পাল বড়গোপ, মাহরাম, আনন্দপুর, কড়ইগড়া গ্রামের কৃষকদের বোরো জমি, জঙ্গলের গাছগাছালি নষ্ট করে।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ সরদার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোববার সকালে সীমান্ত জনপদের মানুষদের হাতি আতঙ্কের খবর পাই। তখনি বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শহিদুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
“এএসআই বিভিন্ন গ্রামের মসজিদের মাইকে জনগণকে হাতি না মারতে আহ্বান জানিয়েছেন। হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়ির সামনে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থানেরও কথা বলা হয়েছে”, যোগ করেন ওসি।
তাহেরপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এখন বন বিভাগের কর্মচারীদের নিয়ে বড়গোপটিলার জঙ্গলেই রয়েছি। হাতিগুলোকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, তারা যেন এদের উৎপাত না করেন।
কড়ইগড়া গ্রামের গারো ছাত্রনেতা টনি দীব্রা বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্ত নদী যাদুকাটা হয়ে সাতটি বন্য হাতি বাংলাদেশে নেমে আসে। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে বাড়ির বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুদের অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছে।
রোববার সকালে তিনি বলেন, এখন বড়গোপটিলার জঙ্গলে অবস্থান করছে হাতিগুলো। এর পাশেই মানুষের বসতি, ঘরবাড়ি রয়েছে।
তবে কিছু উৎসুক মানুষ হাতি দেখতে এসে উৎপাত করছেন বলেও অভিযোগ করেন টনি। তিনি বলেন, এতে যেকোনো সময় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে হাতি লোকালয়ের ক্ষতি করতে পারে।
বড়গোপটিলা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান আবির বলেন, “আমাদের গ্রামের বিভিন্ন ঘর-লাগোয়া গোপে (জঙ্গলে) সাতটি পাহাড়ি হাতি এসে অবস্থান নিয়েছে। তারা উৎকট সুরে ডাকছে। স্থানীয়রা শিশু ও বৃদ্ধদের বসত বাড়িঘর থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।”
আবির আরও বলেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এখন ঘন ঘন পাহাড়ি হাতি নেমে আমাদের এখানে আসছে। মাঠজুড়ে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর চারটি হাতি পাহাড় থেকে নেমে অনেক ক্ষতি করে বলে জানান আবির। তিনি বলেন, তখন বড়গোপটিলা গ্রামের নূরুল ইসলাম নামের এক কৃষক আহত হয়েছিলেন।