‘কেন্দ্র পাহারায়’ থাকবে তৈমুরের কমিটি

‘দখল ঠেকাতে ও ভোট রক্ষায়‘ প্রতিটি কেন্দ্র ‘পাহারা‘র জন্য আলাদা করে কমিটি করার কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।

বুধবার সকালে নির্বাচনী প্রচার শুরু আগে সাংবাদিকদের সামনে তিনি আবারও নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ তোলেন।

নির্বাচনের চারদিন আগে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে হাতি মার্কার এই প্রার্থী বলেন, “তিন সেট করে পোলিং এজেন্ট আমি ঠিক করে রেখেছি। একটা বাধাগ্রস্ত হলে আরেকটা সেখানে কাজ করবে।… এরই মধ্যে আমরা সব এজেন্ট ঠিক করে ফেলছি।”

”শুধু এই না, কেন্দ্রকে রক্ষা করার জন্য আলাদা কমিটি করা হইছে। কেন্দ্র রক্ষার জন্য সেই কমিটি থাকবে।”

সাংবাদিকরা ওই কমিটির কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তৈমুর বলেন, “কেন্দ্র যাতে দখল না হয়, সে জন্য জনগণ পাহারায় থাকবে।”

তৈমুর এদিনও অভিযোগ করেন, “পুলিশ প্রশাসন আমাদের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করছে। অনেকরে গ্রেপ্তার করছে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পলাতক আছে। পলাতক থেকেও নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিচ্ছে।”

বিএনপির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া তৈমুরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বর্তমান মেয়র। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, তৈমুর নেতাকর্মীদের হয়রানি, আটকের যেসব অভিযোগ আনছেন, তা ‘চাল বা কৌশল’ কিনা।

নৌকা মার্কার প্রার্থীর ওই বক্তব্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাতি মার্কার প্রার্থী বলেন, “পুলিশ তো নৌকার পক্ষের কোনো লোকজনকে গ্রেপ্তার করে নাই। তাদের বাড়িতে যায় নাই। আমার সিদ্ধিরগঞ্জের নির্বাচনী সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং আমার লোকজনের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য, তাদের হয়রানি করার জন্য।

”এটা তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তারপরও যদি তিনি (সেলিনা হায়াৎ আইভী) বলেন যে, আমার লোক হয়রানি হচ্ছে না, সেটা আপনারাই বিবেচনা করবেন।”

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তৈমুর বলেন, “আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, তিনি যেন এই নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।”

”এই নির্বাচনে যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে, মানুষ যেন ভোট দিতে পারে এবং নির্বাচনে যেন কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং না হয়”, যোগ করেন তৈমুর।