মেহেরপুরের গাংনীতে ইটভাটা ব্যাবসায়ী হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
Published : 09 Jan 2022, 07:05 PM
রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন বলে পিপি পল্লব ভট্টচার্য তরুণ জানান।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন গাংনী থানা পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের হোসনাবাদ সেন্টার পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান, গাংনীর হিজলবাড়িয়া মাইলমারি গ্রামের নয়ন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার, হিজলবাড়িয়া গ্রামের বারিকের ছেলে বিল্লাল হোসেন, গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন পাড়ার আজগরের ছেলে আব্দুল কাদের ও পূর্ব মালসাদহ গ্রামের অহিল উদ্দিনের ছেলে হোসেন আলী।
দণ্ডিত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে।
পিপি পল্লব ভট্টচার্য মামলার বরাতে জানান, ২০১১ সালোর ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাংনীর ভিটাপাড়া গ্রামের রেজাউল হক খোকন তার নতুন ইটভাটার কাজ শুরুর জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। পরে স্থানীয় একটি ইটভাটার পাশে মেহগনি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় রেজাউল হক খোকনের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনের নামে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে র্যাব-৬ গাংনীর এসআই বাবুল ১২ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৬ জন সাক্ষ্য দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ। আসামিপক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন মিয়াজান আলী, ইব্রাহিম শাহীন, শফিকুল আলম ও রমজান আলী।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযুক্ত ছয় জনকে খালাস দেওয়া হয়। এরা হলেন আড়পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আখতারুজ্জামান, জালশুকা গ্রামের তাহার উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল, আড়পাড়া গ্রামের লাল চাঁদের ছেলে মজনু, মালসাদহ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল কালাম, হাড়িয়াদহ গ্রামের নুর ফকিরের ছেলে খাজা ও সানঘাট গ্রামের ওয়াদুদ আলীর ছেলে আবুল কালাম ওরফে শান্ত।