শহিদুলের অবিশ্বাস্য ভুলে জয় হাতছাড়া আবাহনীর

শেষ দিকে এমএস বাবলুর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দুর্বল শট আটকাতে পারেননি আবাহনী গোলরক্ষক।

শুরুর দিকে পাওয়া গোল আগলে রেখে জয়ের পথেই ছিল আবাহনী। কিন্তু শেষ দিকে অভাবনীয় এক ভুল করে বসলেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করা এমএস বাবলুর দুর্বল শট পারলেন না আটকাতে। জয় হাতছাড়া হলো আবাহনীর।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শুক্রবার পুলিশের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে আবাহনী। কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট অষ্টম মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৮৭তম মিনিটে পুলিশকে সমতায় ফেরান বাবলু।

লিগের প্রথম পর্বের দেখায় পুলিশকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। এবারের ড্রয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডানের পাশে বসা হলো না আন্দ্রেয়াস ক্রুসিয়ানির দলের; ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট তাদের। মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ২৮; সমান ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে কিংস।

অষ্টম মিনিটে বাম দিক থেকে আসা ক্রস আব্দুল্লায়েভ হেডে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল চলে যায় দূরের পোস্টে কর্নেলিয়াসের পায়ে। প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। এগিয়ে যায় আগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে আসা আবাহনী।

এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলতে থাকে আবাহনী। ব্যবধান দ্বিগুণের মরিয়া তাড়না ছিল না তাদের খেলায়। তবু প্রথমার্ধের শেষ দিকে সুযোগ এসেছিল, কিন্তু ওয়াশিংতন ব্রান্দাওয়ের ক্রসে এনামুল গাজী গোলমুখ থেকে পা ছোঁয়াতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে পুলিশ। এদুয়ার্দ মোরিওর ব্যাক হিলে বল পেয়ে একজনকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাবলু, কিন্তু ভালো জায়গায় থেকে ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন এই বদলি ফরোয়ার্ড। ৫৮তম মিনিটে পালাসিওসের ফ্রি কিকে বাবলুর হেডের পরিণতিও একই।

৬৫তম মিনিটে শাহ সৈয়দ কাজেম কিরমানির থ্রু পাস ধরে মাসুদ শট নিয়েছিলেন ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে, কিন্তু বল চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে বাইরে। তাতে জয়ের পথেই থাকে আবাহনী।

৭৪তম মিনিটে কর্নেলিয়াসের আড়াআড়ি ক্রস ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক আহসান আহমেদ বিপু। ৮৪তম মিনিটে রবিউল হাসানের ফ্রি কিক অনেকটা লাফিয়ে আঙুলের টোকায় ক্লিয়ার করেন বিপু।

এরপরই শহিদুলের ওই বিস্ময়কর ভুল। ৮৭তম মিনিটে বাবলুর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে তেমন গতি ছিল না, বলও যাচ্ছিল গোলরক্ষক বরাবর। কিন্তু বল ড্রপ খেয়ে শহিদুলের পায়ের ফাঁক দিয়ে জড়ায় জালে। তাতেই আবাহনীর মুঠো গলে বেরিয়ে যায় জয়।

দিনের অন্য ম্যাচে, মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

দুটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৫তম মিনিটে আর্নেস্ট বোয়াটেংয়ের গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। সাত মিনিট পর সমতা ফেরান ভজিস্লাভ বালবানোভিচ।