“ঢাকার বাস মালিকরা এ বিষয়ে কেন কথা বলছে?”, পাল্টা প্রশ্ন যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিবের
Published : 03 Jun 2024, 11:08 PM
‘বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেন বন্ধের’ অভিযোগ তোলায় যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সোমবার মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামদানি খন্দকার সাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
মোজাম্মেল কীসের ভিত্তিতে এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন, তার প্রমাণ আগামী তিন দিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ করতে বলা হয় এই বিবৃতিতে।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেছিলেন, “বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের যাত্রীরা যখন ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করায় পরিবহনে যাত্রী সংকট দেখা দেয়। বাসে যাত্রী না পাওয়ায় বাস মালিকরা রেল প্রশাসনের কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফেলেছে।”
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, কার্যকরী সভাপতি হাজী আলাউদ্দিন এবং মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, “দেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রতিপক্ষ বানানোর অসৎ উদ্দেশ্যেই যাত্রী কল্যাণ সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এমনসব মনগড়া তথ্য পরিবেশন করেছেন।”
রোজার ঈদ উপলক্ষে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে বিশেষ ট্রেনটি চলাচল শুরু হয়। চালুর পর থেকে ট্রেনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। যাত্রীদের দাবির মুখে দুই দফা সময় বাড়িয়ে বিশেষ ট্রেনটি ১০ জুন পর্যন্ত চলাচল করার সময় নির্ধারণ করা হয়।
ইঞ্জিন সংকটের কারণে ওই ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে ঈদুল আযহার আগে ট্রেনটি ফের চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে রেলওয়ে।
‘প্রমাণ’ তো সোশ্যাল মিডিয়াতে: মোজাম্মেল
তিন দিন সময় বেঁধে দিয়ে বাস মালিক সমিতির হুঁশিয়ারির বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চট্টগ্রাম বা কক্সবাজারের বাস মালিক সমিতি এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাল না। ঢাকার বাস মালিকরা এ বিষয়ে কেন কথা বলছে? এর মধ্যে কোনো দুরভিসন্ধি দেখছি আমরা। তারা আমাকে চাপে রাখতে চায়।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার 'বিশেষ ট্রেন' ঈদের আগেই চালুর আশ্বাস
“সড়কে ও বাস ভাড়ায় যে বিশৃঙ্খলা, সে বিষয়ে তো তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখি না। এখানে তারা কেন কথা বলছে?”
বাস মালিকদের চাপেই যে ট্রেন বন্ধ হয়েছে- এই বক্তব্যের পক্ষে কী প্রমাণ আছে- এই প্রশ্নে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, “এটা নিয়ে তো সোশাল মিডিয়ায় এক সপ্তাহ ধরেই হৈচৈ হচ্ছে। বাস মালিকরা লিফলেট ছাপিয়ে ভাড়া কমিয়েছে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে)
“সৌদিয়া পরিবহন, হানিফ পরিবহন, পূরবী পরিবহন ১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া কমিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটাঘাঁটি করলেই তো দেখা যায়। আমরা সাধারণ মানুষের কথাই তো তুলে ধরেছি।”