সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার জানান, গোপন খবর পেয়ে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচি এলাকা থেকে তারা তাকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত শাখাওয়াত হোসেন জুয়েলের (৪৮) বাড়ি গান্দাচি গ্রামে।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
সোহেলসহ দুই হত্যায় মামলার এজাহারে জুয়েলের নাম নেই। তাকে আসামি দেখানো হবে কিনা তা এখনও বলেনি পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা সোহান সরকার বলেন, “গ্রেপ্তার করার সময় জুয়েলের বাড়ি থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি পাওয়া গেছে। এসব অস্ত্রশস্ত্র হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।”
গ্রেপ্তারকৃত জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ।
তিনি বলেন, “হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর শাহ আলম (এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি) এসব অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুয়েলের বাড়ি যান। এগুলো জুয়েলের কাছে রেখে সেখানে এক রাত অবস্থান করে আবার পালিয়ে যান শাহ আলম। পুলিশের ধারণা, কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহাকে হত্যায় এসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে।”
গত ২২ নভেম্বর গুলিতে নিহত হন কুমিল্লা সিটির প্যানেল মেয়র ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হরিপদ সাহা।
এ ঘটনায় সোহেলের ভাই সৈয়দ মো. রুমন ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম।
মামলার ৩ নম্বর আসামি সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি সাজন (৩২) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মঙ্গলবার রাতে।
বুধবার হত্যার বিচার দাবিতে এবং সোহেলের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সোহেলের ভাই রুমন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
আরও পড়ুন