রোববার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাচথুবী এবং দেবিদ্বার উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এরা হলেন মামলার ৮ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর পূর্বপাড়ার নুর আলীর ছেলে জিসান মিয়া এবং নগরীর সংরাইশ পশ্চিমপাড়ার মো. বাদল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তু ওরফে অন্তু (১৯)।
এ নিয়ে এই মামলায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের যৌথ অভিযানে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যা মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল দাস জানান, রোববার রাত ১১টায় কোতোয়ালি থানার পাচথুবী এলাকা থেকে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউন্সিলর সোহেল হত্যার এজাহারনামীয় ৮ নম্বর আসামি জিসান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও জানান, অপরদিকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় জেলা পুলিশের একটি গোপন অভিযানে দেবিদ্বার থানা এলাকা থেকে সোহেল হত্যা মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তু ওরফে অন্তুকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। সেখানে থাকা সোহেল এবং তার সহযোগী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহাকে তারা গুলি করে হত্যা করে।
এই ঘটনায় পরদিন (২৩ নভেম্বর) গভীর রাতে সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রুমান কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দশ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই পর্যন্ত ছয় জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: