মঙ্গলবার জেলা শহরের হাজিপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন সাহা (২২) হাজিপুর দাসপাড়ার অজিত সাহার ছেলে। তিনি শেকেরচরে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন।
নিহতের বাবা আজিত সাহার অভিযোগ, সোমবার রাতে পুলিশ সুজনকে খুঁজতে তাদের বাসায় যায়। তখন গেইট খুলতে না চাইলে পুলিশ গেইটের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। পরে তাকে ফোন দিয়ে পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে বলে।
“সকালে ব্রাহ্মণদী থেকে তাকে ধরে হাজীপুর বাবুলের চানাচুর ফ্যাক্ট্ররিতে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে এলোপাথারী পিটিয়ে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেয়।”
পরে হাজিপুরের হাড়িদোয়া নদীতে জাল ফেলে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে তার বাবা জানান।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, সুজনের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই, মারামারিসহ ১০টি মামলা রয়েছে। একাধিক পরোয়ানাও রয়েছে। পরোয়ানা তামিল করতে হাজিপুরের চানাচুর ফ্যাক্টরি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“সেখান থেকে সুজনকে থানায় নেওয়ার পথে সে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় তার কাছে থাকা ছুড়ি দিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে উপর্যপুরি আঘাত করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।”
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “থানায় নেওয়ার সময় সুজন পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। তখন সে নদীর তলিয়ে যায়। সেখোনে কোনোকিছুতে আটকে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।”