কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় দুর্বত্তদের হামলায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও তার ভাই ইউপি নির্বাচনের সদস্য প্রার্থীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
Published : 06 Nov 2021, 12:31 AM
তারা হলেন- জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য কুদরত উল্লাহ সিকদার এবং ওই এলাকার প্রয়াত ফয়েজ আহমদের ছেলে জহির সিকদার।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীন মো. আব্দুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন জনকে হাসপাতালে আনা হয়।
“এদের মধ্যে কুদরত উল্লাহ এর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।“
কুদরত উল্লাহ আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্টিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এবারও সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড স্টেশনে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাতে ব্যক্তিগত অফিসে ইউপি সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ কর্মি-সমর্থক ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নির্বাচনি আলাপ আলোচনা করছিলেন। এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল যোগে এসে একদল দূর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারীর অভিযোগ নির্বাচনী প্রতিপক্ষ বেশ কিছু দিন থেকে কুদরত উল্লাহ ও তার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে।
“নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার এবং আতংক ছড়িয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মি-সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করতে এ হামলা সংঘটিত হয়েছে, “ দাবি করেন তিনি।
পরিদর্শক বিপুল বলেন, "কারা, কী কারণে এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"
ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে রাতে লিংকরোডে কুদরত উল্লাহের কর্মী-সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাছাড়া জেলা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।