সোমবার বেলা ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার সামনে এই ঘটনা ঘটে।
টাকা খুইয়েছেন সদর উপজেলার আমলাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইয়াহিয়া খান। তিনি পঞ্চগড় শহরের পুরাতন পঞ্চগড় ধাক্কামারা এলাকার বাসিন্দা।
ইয়াহিয়া খান সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখা থেকে ভোগ্যপণ্য ক্রয় ঋণের তিন লাখ টাকা উত্তোলন করে একটি ব্যাগে নেন তিনি।
“পরে ব্যাংক থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে টাকার ব্যাগ রাখার সঙ্গে সঙ্গে একজন বয়স্ক লোক বলেন – আপনার গাড়ির নিচে টাকা পরে গেছে তুলে নেন।”
ইয়াহিয়া খান তার কোনো টাকা পড়েনি বললে ওই সময় আরেক অচেনা লোক বলেন - আমি বৃদ্ধ লোক আমার টাকাগুলো মাটিতে আপনার গাড়ির নিচে পড়ে গেছে, দয়া করে তুলে দেন।
“গাড়ি থেকে নেমে আমি ওই টাকাগুলো কুড়াতে যাওয়া মাত্রই আমার গাড়ির হ্যান্ডেল থেকে কেউ টাকার ব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংকের ম্যানেজারকে ঘটনা জানাই।”
ইয়াহিয়া জানান, পঞ্চগড় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে তার একটি ঋণ আছে। সেই ঋণ পরিশোধের জন্য তাকে সোনালী ব্যাংক থেকে ভোগ্যপণ্য ঋণ আবেদনের পর আট লাখ টাকা ঋণ পাস হয়। সেই ঋণের তিন লাখ টাকাই উত্তোলনের পর চুরি হয়ে গেল।
পঞ্চগড় শাখা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, “অভিনব এই চুরির ঘটনাটি দুঃখজনক। টাকা উত্তোলোনের পর ব্যাংকের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। এরকম অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি।”
ব্যাংকের নিরাপত্তা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আট জন পুলিশ ও কয়েক জন আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। তবে দুজন পুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টাই ব্যাংকের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন; বাকি ছয় জন পুলিশ সদস্য ব্যারাকে অবস্থান করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বেনজির আহমেদ বলেন, সোনালী ব্যাংকের সামনে টাকা চুরির খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যাংক থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ওই ফুটেজ পঞ্চগড়ের পাঁচটি থানাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও ধরতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।