কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে রোববার এই আদেশ দেন।
দুই আসামি হলেন- উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের নুর বশরের ছেলে মো. সলিম (৩৩) এবং মধুরছড়া ৩ নম্বর ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ (২৩)।
কক্সবাজার আদালত পুলিশের পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুই আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে প্রিজেন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪৮ বছর বয়সী মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। তিনি ছিলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ নামে রোহিঙ্গাদের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।
মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আরেকটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে সন্দেহ তার পরিবারের।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে মো. সলিমকে গ্রেপ্তার করে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান-এপিবিএন। আর উখিয়া থানা পুলিশ মধুরছড়া ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লক থেকে শওকত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া শনিবার ভোররাতে এপিবিএন সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আব্দুস সালাম (৩২) ও জিয়াউর রহমান (৩০) নামের আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন