আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে হবে।
Published : 26 Apr 2024, 03:38 PM
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজীকে শোকজ করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিরাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, “আনারস প্রতীকের প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজী তার কর্মী সমর্থকদের দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত কলম) ও কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমের (ঘোড়া) নির্বাচনি প্রচারে বাধা প্রদান এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
“যার ভিডিও ফুটেজসহ নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তারা। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচনি আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩, ১৮ ও ৩১ এর পরিপন্থী।”
এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে পত্র প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে তাকে লিখিতভাবে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
কাজিপুরে প্রচারে বাধা, মারধরের অভিযোগ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ এবং কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও আশরাফুল আলম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজী ও তার লোকজন প্রতিটি ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে নামলেই তাদের মারধর করছে, পোস্টার ও লিফলেট কেড়ে নিচ্ছে ও ছিঁড়ে ফেলছে এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দিচ্ছে।”
২৪ এপ্রিল প্রচারের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানকে মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী থানায় চারটি জিডি করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে।
প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকির কারণে ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কোনো নির্দেশনাই খলিলুর রহমান সিরাজী মানছেন না। তিনি প্রভাব বিস্তার করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণের চেষ্টা করছেন।”
এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট ও ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও কাজীপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী।
প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে এ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় মোট তিন জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।