হাসপাতালে বাবার লাশের পাশে কাঁদা সেই শিশুটির পাশে প্রশাসন

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ চত্বরে ট্রলির উপর বাবার লাশ, তার পাশে বসে কাঁদছে তার ছোট্ট মেয়ে মরিয়ম খাতুন।

সাদেকুল ইসলাম নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2021, 01:28 PM
Updated : 6 July 2021, 01:28 PM

সাত বছর বয়সী মেয়েটির এই কান্নার ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেন স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী। মেয়েটির কান্না ছুঁয়ে যায় সবার হৃদয়। সোমবার সকালে তোলা ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রয়াত মজিবর রহমান (৩৮) নওগাঁর পোরশা উপজেলার চকবৃষ্ণপুর গ্রামের ফজর বিশ্বাসের ছেলে। হাঁড়ি-পাতিলের ফেরিওয়ালা মজিবরের এক ছেলে এবং দুই মেয়ে। ছেলে তুষার হোসেন (১৩), মেয়ে মাফরুফা খাতুন (৯) এবং মরিয়ম খাতুন (৭)।
মৃত মজিবর রহমানের স্ত্রী তানজিলা খাতুন জানান, শ্বাসকষ্ট আর জ্বর হওয়ায় গত রোববার পাশের সাপাহার উপজেলায় ডা. হামিদের কাছে চিকিৎসা নেন তার স্বামী। রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অবস্থা আরও খারাপ হলে পর দিন সোমবার সকালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকজন।

তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তির আগেই মৃত্যু হয় তার স্বামীর। এ সময় ট্রলিতে মজিবরের মরদেহ রেখে ফেরার জন্য যানবাহন খুঁজতে যান নিহতের শ্যালক আলমগীর হোসেন।

এ ফাঁকে মজিবুরের ছোট্ট মেয়ে মরিয়ম বাবার মরদেহের পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ে।

সেদিন বিকেলেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মজিবুরের লাশ বাড়ি এনে সন্ধ্যায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি চোখে পড়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের হারুন অর রশিদের। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পোরশা উপজেলার চকবৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে ওই পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করে প্রশাসনের লোকজন।

এছাড়া মুদি দোকান করার জন্য মরিয়মের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলেও জানিয়েছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ।