বন্দরের পণ্য খালাসকারী প্রতিষ্ঠান লাকি ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম বলেন, এই নৌবন্দরে প্রায় আট হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
“জাহাজ ও কার্গো না আসায় তারা কাজ পাচ্ছেন না। বছরে প্রায় পাঁচ মাস পানি কম থাকে বলে বন্দরে পণ্য খালাসে সমস্যা হয়।”
এখন বড় নৌযানগুলো দূরে নোঙ্গর করার পর সেখান থেকে ছোট ট্রলারে মাল খালাস করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “চরভদ্রাসনে এসে ঠেকে গেছি। আমার জাহাজে ১২ হাজার বস্তা সিমেন্ট বহন করা যায়। নদীতে পর্যাপ্ত গভীরতা নেই বলে আট হাজার আনতে হয়েছে।
একই রকম সমস্যার কথা জানিয়েছেন অন্য অনেক নৌযানকর্মীরা।
বন্দর সচল করতে চ্যানেলে ড্রেজিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ।
তিনি বলেন, “চ্যানেলে ড্রেজিং করা হচ্ছে। তবে এখনও বড় নৌযান চলাচলের উপযুক্ত হয়নি। আশা করছি চলতি মৌসুমে এই সংকট কেটে যাবে।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দরে ভিড়তে না পেরে দূরের দিঘির চর, ভুঁইয়াবাড়ি ঘাট, খুশির বাজার, বাইল্যা হাটা, হাজিগঞ্জের চর, চরভদ্রাসনের এমপিডাঙ্গি ও গোপালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নদীর তীরে পণ্যবাহী জাহাজ, কার্গো ও বড় ট্রলার ভেড়ানো রয়েছে।
তিনি বলেন, “নাব্য না থাকায় জাহাজের ইঞ্জিনের পাখা ভেঙে যায়। সুখান আটকে যায়। জাহাজের অনেক ক্ষতি হয়। অন্তত ১৫ ফুট পানি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কোথাও কোথাও আছে মাত্র তিন-চার ফুট পানি।”