পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের এক সদস্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন।
Published : 15 Feb 2021, 06:26 PM
পুলিশ ও স্থানীয়রা এই খবর নিশ্চিত করেছে।
তবে বিএসএফের হাতে এক বাংলাদেশি আটক হয়েছে বলে খবর পেলেও তিনি পুলিশ সদস্য কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজিবি কর্মকর্তারা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মমিনপাড়া সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় রোববার রাতে ওই পুলিশ সদস্য বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
মমিনপাড়া গ্রামের কুলছুম বেগম বলেন, “রাত ৮টার পর তিনজন মানুষের সাথে ভারতীয় লোকদের ঝগড়া হয়। তারা বিএসএফকে খবর দিলে বিএসএফ এসে একজনকে ধরে নিয়ে যায় এবং দুজন পালিয়ে আসে।
“রাতেই আমরা শুনেছি বিএসএফের হাতে আটক ব্যক্তি পুলিশ সদস্য এবং পালিয়ে আসাদের মধ্যে আরেকজনও পুলিশ সদস্য ছিল।”
আটক ওমর ফারুক (২৪) জেলা পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবু আক্কাস আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সে কী কারণে সেখানে গিয়েছিল, সেটা বলতে পারছি না। তবে ঘটনাস্থল থেকে তার একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে।”
কুলসুমের পাশাপাশি ওই এলাকার বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের এই সদস্যের সীমান্তে পাড়ি দেওয়ার সঙ্গে মাদকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
আমিরুল বলেন, পরে ভারতীয় চানাকিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা এসে ওমরকে ধরে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখছেন।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী বলেন, “নানাভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আটক ব্যক্তি ওমর ফারুক পুলিশে কনেস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
তিনি কী কারণে ওই এলাকায় গিয়েছেন বা তার সর্বশেষ অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। এজন্য পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
যে স্থান থেকে ওমরকে ধরে নেওয়া হয়, ওই এলাকাটি নীলফামারীর ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন। সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৩ এর ৭ ও ৮ নম্বর সাব পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির ঘাগড়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো রুহুল আমিন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা।
“তারা একজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছে। বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করা হলেও নীলফামারী ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক ফোন ধরেননি।