স্থানীয়দের জীবিকার বিষয় বিবেচনার আশ্বাসে ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Published : 02 Feb 2021, 05:25 PM
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টায় স্মারকলিপি প্রদানের পর টেকনাফের ইউএনওর সঙ্গে এক বৈঠকে আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় সেন্টমার্টিনে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি চেয়ারম্যান।
গত বছর ১২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ছেঁড়াদিয়ায় পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ করে। গত ২ জানুয়ারি ১৪টি নির্দেশনা দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় কোস্টগার্ড।
রোববার থেকে ছেঁড়াদিয়ায় পর্যটক যাতায়ত বন্ধে কোস্টগার্ড কড়াকড়ি আলোপ করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ছেঁড়াদিয়ায় পর্যটকদের যাতায়ত নিষিদ্ধ করার কারণে দ্বীপবাসিসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে এ নিয়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন দাবিতে টেকনাফের ইউএনও বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করতে যান।
“স্মারকলিপি প্রদানকালে ইউএনও পর্যটকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আন্দোলনকারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহবান জানান। এই সময় স্থানীয়দের জীবিকার বিষয়টি ইউএনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।”
সার্বিক দিক বিবেচনায় আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এই ইউপি চেয়ারম্যান জানান।
এদিকে ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও পর্যটকবাহী জাহাজযোগে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসে বেশ কিছু সংখ্যক পর্যটক।
নুর আহমদ বলেন, সেন্টমার্টিনে স্থানীয় ১০ হাজার বাসিন্দার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আরও ৪ হাজার মানুষ বসবাস করে। তাদের মধ্যে ৬ হাজারের বেশী মানুষের জীবন-জীবিকা পর্যটননির্ভর। পর্যটকদের সেন্টমার্টিন আসার প্রধান আকর্ষণ ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণ।
এখন ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ হলে দ্বীপবাসিসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাতায়তের নিষিদ্ধ করায় স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ জীবন-জীবিকার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।