সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ শেখ রাজিয়া সুলতানা এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহিম।
তিনি জানান, এ হত্যা মামলার রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং হত্যাকাণ্ডের সময় কিশোর হওয়া একজনকে শিশু আইনে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত এজাহারের অপর আসামি রিনা বেগম, ইকবাল, এমদাদ, আলী আহাম্মদ, মোশারফ এবং সিরাজ মিয়াকে বেকসুর খালাস দেয়।
২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও এলাকায় শান্তিনগর দারুন নাজাত নুরানি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র সোয়াইব হোসেন নিখোঁজ হয়।
ছয় দিন পর আসামিদের বাড়ির পাশে এক নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে শিশু সোয়াইবের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোয়াইবের বাবা মাসুম মিয়া বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
জবানবন্দীতে আসামিরা জানান, নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিশু সোয়াইবকে অপহরণের হত্যার করে। এরপর তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে পুরো শরীর এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়।
এদিকে, শিশু সোয়াইবের বাবা নাজিমুল হোসেন মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, খালাস পাওয়া ছয় আসামির বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
তার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিরা রায়ে খালাস পেয়েছেন বলছেন তিনি।