কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে ‘মাছ ধরতে যাওয়া এক বাংলাদেশি জেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির গুলিতে' নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিপি’কে চিঠি পাঠিয়েছে বিজিবি।
Published : 09 Nov 2020, 02:23 PM
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় সোমবার সকালে বিজিবি এ প্রতিবাদ চিঠি পাঠান।
নিহত মোহাম্মদ ইসলাম (৩০) টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়ার গুরা মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে লে. কর্নেল ফয়সল বলেন, গত শনিবার রাতে টেকনাফে নাফ নদীর জলিলের দিয়া এলাকায় একটি নৌকায় মোহাম্মদ ইসলামসহ দুই জেলে মাছ ধরছিলেন।
এক পর্যায়ে মিয়ানমার জলসীমা থেকে বিজিপির ছোড়া গুলিতে একজন বিদ্ধ। পরে স্থানীয় জেলেরা তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “শনিবার রাতে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। তার পেটের ডান পাশে গুলির আঘাত রয়েছে। রাতেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও (প্রশাসন) ডা. নওশাদ রিয়াদ বলেন, টেকনাফ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে মৃত্যু হয়েছে।
বিজিবির অধিনায়ক ফয়সল বলেন, গত ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে ইয়াবা পাচার ও চোরাচালান রোধে নাফ নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরে আসছিল।
"স্থানীয় জেলেদের কাছে অবহিত হয়েছি, নিহত মোহাম্মদ ইসলামসহ ২ জেলে নৌকায় মিয়ানমারের জলসীমার কাছাকাছি নাফ নদীতে মাছ ধরছিল। এ সময় বিজিপি তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে।"
এ ঘটনায় সোমবার সকালে বিজিপির কাছে বিজিবি প্রতিবাদ চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল।
টেকনাফ পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শাহ আলম জানান, নাফ নদীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মোহাম্মদ ইসলাম এর জানাজা রোববার রাতে এশার নামাজের আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর তাকে স্থানীয় উত্তর নাইট্যং পাড়া কবর স্থানে দাফন করা হয়।