নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতকের (সম্মান) এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 18 Oct 2020, 07:18 PM
শনিবার রাতে শহরের কুড়িগ্রামে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান কমপ্লেক্সের পাশে হিসাববিজ্ঞানের এই ছাত্রীকে পাওয়া যায়।
অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধারের পর রাতেই তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে তার জ্ঞান ফিরে আসে।
জ্ঞান ফেরার পর এই ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জ নিশিনাথতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ভ্যানে ওঠেন তিনি। ভ্যানটি মাছিমদিয়া সুলতান সেতুর কাছে গেলে এক ব্যক্তি মুখে রুমাল চেপে ধরে। এরপর আর কিছু মনে নেই।
মেয়েটির বাবা বলেন, তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পাশে কোচিং সেন্টারে যান। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তার সঙ্গে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এরপর তার সঙ্গে আর কথা হয়নি।
তিনি বলেন, দুপুরে বাড়ি না আসায় তাকে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের নতুন মোবাইল নম্বর থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি আমার কাছে ফোন করে জানায়-মেয়েকে পেতে হলে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। এরপর তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
“সন্ধ্যার পর এক মহিলা আমার মেয়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে ফোন করে বলেন সুলতান কমপ্লেক্সের পাশে যেন মেয়েকে নিয়ে আসি।”
পরে সদর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বলে তার বাবা জানান।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মশিউর রহমান বাবু বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। তার সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেতে দুয়েকটি সময় লাগবে।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামি অজ্ঞাত। কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মেয়ের মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে আসামিদের চিহিৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।