পার্বত্য জেলা রাঙামাটির নানিয়ারচর এলাকায় সেনাসদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছে।
Published : 13 Oct 2020, 09:20 PM
নিহত দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে না পারলেও তারা ‘সন্ত্রাসী’ বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিহতদের ইউপিডিএফের (প্রসিত) কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নানিয়াচর থানার খাড়িক্ষণ এলাকায় এই সংঘর্ষ হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খাড়িক্ষণ নামক স্থানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন সন্ত্রাসী মারা যায় এবং একজন সেনা সদস্য আহত হন।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের উপর সশস্ত্র হামলা হলে সংঘর্ষ বাঁধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের রউফ টিলায় সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানায় অভিযান চালাতে যায় রাঙামাটি সদর জোনের ২০ সেনা সদস্য। এই সময় পাশের আরেকটি অবস্থান থেকে সেনা টহলের উপর গুলিবর্ষণ হয়।”
ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-২২ এসএমজি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
আহত সৈনিক শাহাবুদ্দিনকে (২৮) প্রথমে রাঙামাটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে হেলিকপ্টারে তাকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে পাঠানো হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, শাহাবুদ্দিনের কাঁধে গুলি লেগেছে।
রাতে আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নানিয়ারচর সংলগ্ন বুড়িঘাট এলাকায় রাঙামাটি সেনা জোনের একটি টহল দল ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) এর সশস্ত্র চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়।
“এ সময় ইউপিডিএফের চাঁদাবাজরা সেনাটহলের উপস্থিত বুঝতে পেরে পার্শ্ববর্তী একটি টিলার উপর হতে আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে। সেনা টহলে থাকা সেনা সদস্যরা এ পর্যায়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।”
এদিকে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, “এইরকম কোনো ঘটনার খবর আমাদের জানা নেই। তবে পাহাড়ে কোনো ঘটনা ঘটলেই আমাদের জড়িয়ে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে বক্তব্য দেওয়া হয়। এটিও সেইরকম একটি ঘটনা হতে পারে।”