অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন পুলিশ সদস্যকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।
Published : 17 Aug 2020, 02:10 PM
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির চার সদস্য সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পৌঁছান।
পরে তারা মামলার প্রধান তিন আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হন।
এরপর ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চার সদস্যের এই কমিটি গঠন করে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলী।
সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ অগাস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে যে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, তাতে লিয়াকতকে প্রধান ও প্রদীপকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে।
মামলার নয় আসামির মধ্যে ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ অগাস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের নির্দেশে এই চারটি মামলায়ই এখন তদন্ত করছে র্যাব।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার বিকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক গণশুনানিতে সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনাস্থলে থাকা নয় জনের বক্তব্য শোনে।
তদন্তের কাজ গুছিয়ে আনার কথা জানিয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “সরকার আমাদেরকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা আশা করছি, এর মধ্যে আমরা রিপোর্ট প্রস্তুত করতে পারব এবং সরকারকে জমা দিতে পারব।”