বরগুনায় খাল দখল করে ঘর নির্মাণ

বরগুনার আমতলী উপজেলায় একটি খালের উপর পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।

কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা-খাকদোন গ্রামে গোড়াই খালের উপর একটি কালভার্টের মুখে এই ঘরটি নির্মাণ করায় পানি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে।

কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল ওহাব হাওলাদার ও রাজ্জাক হাওলাদার কালভার্টের দুই মুখ দখল করে এই স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা-খানদোন গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোড়াই খাল। এই খালটির পানি কুকুয়া ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ কৃষি কাজে ব্যবহার করেন। ওই খালে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভালো থাকায় প্রতিবছর আউশ ও আমনের বাম্পার ফলন হয়। ওই খালের রায়বালা-খাকদোন চৌরাস্তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ একটি কালভার্ট নির্মাণ করে।

স্থানীয় কৃষক ময়জদ্দিন সিকদার বলেন, কালভার্টের নির্মাণ কাজ এ বছর জুন মাসে শেষ হয়। কিন্তু কালভার্টের কাজ শেষ হতে না হতেই প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল ওহাব হাওলাদার ও রাজ্জাক হাওলাদার কালভার্টের দুই মুখ দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন।

“কালভার্ট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই এলাকার কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার কৃষক।”

সরেজমিনে দেখা যায়, কালভার্টের দুই মুখ দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করায় কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। 

কৃষক হাবিব মৃধা ও হাবিব গাজী বলেন, কালভার্ট দখল করায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় তাদের কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

তারা দ্রুত প্রশাসনের কাছে কালভার্ট দখল মুক্ত করে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

ওহাব হাওলাদারের ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।

আবদুল ওহাব হাওলাদার গোড়াই খাল দখল করে ঘর নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, “কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।”

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন বলেন, কালভার্ট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“ষি কাজ ব্যাহত হয় এমন অনিয়ম কেউ করে থাকলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।

আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করা অন্যায়। কালভার্ট দিয়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।