মুন্সীগঞ্জে পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতে বালু ভর্তি দুইটি নৌযান ডুবে গেছে।
Published : 14 Jul 2020, 10:27 PM
মঙ্গলবার লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর খুঁটির কাছে প্রবল স্রোতে পরপর ডুবে নৌযান দুইটির ১০ শ্রমিককে উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর খুঁটির কাছে টেস্ট পাইলে ধাক্কা লেগে প্রথমে আল-মোল্লা-১ ডুবতে থাকে। এর পেছনে থাকা নূর জাহান-২ নামের বালুবাহী নৌযানটি সামনের জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
পদ্মার চর থেকে নৌযানটি দুইটি বালু নিয়ে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল বলে জানান তিনি।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, টেস্ট পাইলটি ৭ নম্বর খুঁটি বরাবর ৫০ মিটার দূর ছিল। পানি থেকে দুই মিটার উপরে দৃশ্যমান।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, টেস্ট পাইলটি তুলে ফেলার কথা থাকলেও সেতুর খুঁটির নিরাপত্তার স্বার্থে এখনও তোলা হয়নি।
উদ্ধার হওয়া শ্রমিক মো. লিটন জানান, পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় দূর থেকে কালো রংয়ের পাইলটি ভালো করে দেখা যায় না। পানির সামান্য উপরে থাকলেও টেস্টপাইলটি আরও স্পষ্ট করে চিহ্নিত করা দরকার। নয়তো আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নূর জাহান-২ জাহাজের চালক চাঁদপুরের মতলবের দশআনী গ্রামের এরশাদ (৩৫), মিস্ত্রী ফয়েজ আহাম্মেদ (২৭), বাবুর্চি বাগেরহাটের রায়েন্দা থানার উত্তর বাদামতলী গ্রামের তুহিন (২৪), স্টাফ লক্ষীপুরের নোয়াখালীর চরপল্টন গ্রামের মো. আকরাম (২২) ও স্টাফ চাঁদপুরের মতলবের জিকিরচর গ্রামের রাকিব (২৪)।
গভীর পানি ও প্রবল স্রোতের কারণে বালুর নৌযান দু’টি উদ্ধার করার সম্ভাবনা ক্ষীণ জানিয়ে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, “স্রোতের তোড়ে নৌযান কোথায় চলে গেছে বলা মুশকিল।”
২০১৪ সালের ৪ আগস্ট পদ্মায় এর চেয়েও কম স্রোতের মধ্যে পিনাক-৪ নামের একটি লঞ্চ ডুবে যায়। অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি এনেও ওই লঞ্চের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা বাড়ি চলে গেছেন।