করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জে ‘৮১টি পোশাক কারখানাসহ ১৯১ বিভিন্ন কারখানা’ খুলেছে।
Published : 26 Apr 2020, 07:51 PM
রোববার সকাল থেকে সীমিত পরিসরে ‘সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে’ এসব কারখানা চালু করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক বশির আহম্মেদ জানিয়েছেন, খুবই সীমিত সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে জেলার ১৯১টি কারখানা চালু হয়েছে।
“এরমধ্যে আদমজী ইপিজেডে রয়েছে ১৬টি কারখানা। কোথাও ৫০ জন, কোথাও ১০০ জন করে শ্রমিক দিয়ে কারখানাগুলো চালু করেছে।”
এর মধ্যে ৮১টি পোশাক কারখানা ছাড়াও স্টিল রি-রোলিং মিল, এক্সেসোরিজ কারখানা, প্যাকেজিং কারখানা, অ্যালুমিনিয়ামসহ বিভিন্ন ধাতবের কারখানা এ দিন খুলেছে বলে জানান তিনি।
আদমজী ইপিজেডের হংকং ভিত্তিক পোশাক কারখানা ইপিকের শ্রমিক নিরব হোসেন জানান, কারখানায় প্রবেশের আগে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। এরপর হাতে পায়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। কারখানার ভেতরেও পর্যাপ্ত শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ চলছে।
কারখানায় আট হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, “রোববার ৬/৭শ’ শ্রমিক যোগ দিয়েছে।”
অপর এক কারখানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কারখানা চালু করেছি। যারা আশপাশে বসবাস করেন তাদেরইে কারখানায় আসতে বলা হয়েছে।
“আমাদের শিপমেন্ট এরজন্য মাল মজুদ করা আছে। এগুলো ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে।”
তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে তাদের কারখানার শ্রমিক উপস্থিতির সংখ্যা বাড়ানো হবে।
“তখনকার পরিস্থিতি কী হয় এখনই বলা মুশকিল। তবে শ্রমিকেরা যেখানে বসবাস করেন সেখানার পরিবেশ তো স্বাস্থ্য সম্মত নয়-ওরা গরিব মানুষ।”
নতুন করোনাভাইরাসের বিশ্ব মহামারী পরিস্থিতিতে গত ৮ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা অবরুদ্ধ ঘোষণা করে আইএসপিআর।
রোববার পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে এ রোগে মারা গেছেন ৪১ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৬২৫ জন। আক্রান্ত ও নিহতের অধিকাংশই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও সদর থানা এলাকার। আর পোশাক কারখানার প্রায় সবগুলোই এ এলাকায় অবস্থিত।
এছাড়া বিভিন্ন জেলায় বাড়ি ফেরা এ জেলার বেশ কয়েকজন পোশাককর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।