করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন দিনমজুররা ত্রাণের দাবিতে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ইউএনও কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ এবং গোবিন্দগঞ্জে পৌরভবন ঘেরাও করেছে।
Published : 14 Apr 2020, 07:16 PM
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের মন্দুয়ার এবং জয়েনপুর গ্রামের দুই শতাধিক কর্মহীন দিনমজুর এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দিনমজুররা জানান, করোনারভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ ‘সাধারণ ছুটি’ শুরুর দিন থেকেই তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কোনো কাজ না থাকায় খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। অনেককে ঋণ করতে হয়েছে কিন্তু তারা কীভাবে এ ঋণের টাকা শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ বলেন, “কর্মহীন যেসব দিনমজুর এসেছিলেন, তাদের তালিকা তৈরি করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।
“সরকারি সহায়তা আসলে তাদেরকে সাহায্য করা হবে।”
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তিন’র বেশি মানুষ পৌরভবন ঘেরাও করে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করে। তারা ত্রাণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এ সময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা বাপ্পী, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন আকন্দ, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোখলেছুর রহমান ও কাউন্সিলর ফারুকসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে এ বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন আকন্দ বলেন, “মেয়র সরকারি সহায়তার ৩৫ মেট্রিক টন চাল তুলেছেন।
“সেই চাল নিজের ব্যক্তিগত বাজার অফিস থেকে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করছেন।”
আরো অভিযোগ তিনি জানান, তার এলাকাসহ আরও সাত কাউন্সিলরের এলাকায় কেউ এক কেজি চালও ত্রাণ পায়নি।
“পৌর মেয়রের এ খামখেয়ালির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৌর এলাকার অসহায় কর্মহীন মানুষ।”
গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান জানান, করোনাভাইরাস উপলক্ষে ত্রাণ বিতরণে এ সাতজন কাউন্সিলর প্রথম থেকেই অসহযোগিতা করছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
“এ কাউন্সিলররাই অসহায় এসব কর্মহীন মানুষজনকে ডেকে এনে একটি কৃত্রিম বিক্ষোভ-আন্দোলনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে।”