ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারের বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 10 Mar 2020, 02:44 PM
দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত গোলদার বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পরিদর্শক সুব্রত বলেন, সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান ও একই ইউসুফদিয়া এলাকার এনায়েত হোসেনের সমর্থদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের বিরোধ ছিল।
“এ নিয়ে দুই পক্ষ ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।”
পরিদর্শক বলেন, ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ায় পাঁচ পুলিশসহ ২৫ জন আহত হন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মো. এনায়েত হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি বাড়ি যাওয়ার সময় ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। এতে তার সমর্থক আনিস, সাব্বির, শরীফুল, রিপনসহ ১০ জন আহত হন।
তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে তিনি জানান।
তবে মো. ওয়াহিদুজ্জামান তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার সমর্থক রাজীবসহ কয়েকজন লোক ইউসুফদিয়া বাজারে গেলে এনায়েতের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে তার সাত-আটজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে বলে পরিদর্শক সুব্রত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এসআই মোস্তফাসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওয়াহিদুজ্জামান ও এনায়েত হোসেনসহ ৩০ জন ও অজ্ঞাতনামা দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।