সোমবার কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক মেরিন ড্রাইভে কলাতলী হ্যাচারি জোনে ব্র্যাকের পানি পরীক্ষাগারের সামনে এ অভিযান চালানো হয় বলে রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল খায়ের জানান।
আটকরা হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব-চালিয়াপাড়ার মীর কাশেমের ছেলে মো. এরশাদ মিয়া, চট্টগ্রাম মহানগরীর সুজাকাঠগড়ের রাখাল দাশের ছেলে শিবু দাশ, মোহাম্মদ আলমগীর, এনায়েত উল্লাহ, ইমরান হোসেন ও আবু তৈয়ব।
এদের মধ্যে এরশাদ মিয়া ও শিবু দাশ একটি খ্যাতিমান বেসরকারি সংস্থার গাড়ীর চালক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিদর্শক আবুল খায়ের বলেন, সকালে কলাতলী হ্যাচারি জোনে ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়ে ছিনতাই হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশের হিমছড়ি ফাঁড়ির একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাইকালে ছয়জনকে আটক করা হয়।
“আটকরা মেরিন ড্রাইভ সড়কে চলাচলকারী গাড়ি ও পথচারীদের থামিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাই করছিল। এদের মধ্যে দুই জনের গায়ে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের জ্যাকেট পরা ছিল। তারা সংস্থাটির কক্সবাজারের স্থানীয় অফিসের গাড়ি চালক।”
ঘটনাস্থল থেকে দুইটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পরিদর্শক খায়ের বলেন, “আটকরা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ব্র্যাকের জ্যাকেট পরে সংঘবদ্ধ একটি ছিনতাইকারী চক্র বেশ কিছুদিন ধরে মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে আসছে। এ খবর পুলিশের কাছে আসার পর পরিকল্পিতভাবে এ অভিযান চালানো হয়েছে।”
দুপুরে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা আটকদের রামু থানায় হস্তান্তর করেছে বলে জানান আবুল খায়ের।
এদিকে, সন্ধ্যায় ব্র্যাকের কক্সবাজার অফিসের হেড অব মিডিয়া এন্ড এক্সটার্নাল রিলেশনস কর্মকর্তা রাফে সাদনান আদেল গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি জ্যাকেট পরিহিত গাড়ি চালক পরিচয়ে পুলিশের হাতে আটক দুইজন ব্র্যাকের নিয়মিত কর্মী নয় দাবি করেন।
বিবৃতিতে আদেল বলেন, “দৈনন্দিন কাজ পরিচালনার অংশ হিসেবে ব্র্যাক মানবিক সহায়তা কর্মসূচি কক্সবাজার নিজস্ব পরিবহনের পাশাপাশি রেন্ট-এ কার থেকে বিভিন্ন সময়ে দৈনিক এবং মাসিক চুক্তিতে গাড়ি সেবা গ্রহণ করে থাকে।
“সোমবার সকালে ‘সায়রা রেন্ট-এ কার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে একটি গাড়ি দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া করে। আটক এরশাদ মিয়া দৈনিক ভাড়া করা গাড়ির চালক হিসেবে কলাতলী এলাকায় ব্র্যাকের পানি পরীক্ষাগার অফিসের সামনে গাড়ি নিয়ে আসেন। সেখান থেকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে আটক করে।”
ব্র্যাক কর্মকর্তা আদেল আরও বলেন, “ব্র্যাকের সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া করা কোনো গাড়ীর চালক ব্র্যাকের কর্মী নয়। যে কোনো পর্যায়ে এদের অপরাধের সাথে ব্র্যাকের সম্পর্ক নেই। আমরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের তথ্য দিয়ে সর্বাত্মক সহায়তা করছি।”