নোয়াখালীতে ১১ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
Published : 28 Jan 2020, 08:37 PM
মঙ্গলবার সকালে সুবর্ণচর উপজেলার চর হাছান গ্রামের ভূঁইয়ার হাটে এ ঘটনার শিকার শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই এলাকার খন্দকার বাড়ির মহসিনের ছেলে রাকিব হোসেনকে (১৯) এই ঘটনার জন্য দায়ী করছেন শিশুটির স্বজনরা। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
নোয়াখালী জেনারেল চিকিৎসক জহির উদ্দিন জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণে শিশুটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। শ্বাসকষ্টের কারণে জরুরিভিত্তিতে তার অস্ত্রপ্রচার সম্ভব হচ্ছে না। তবে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে চিকিৎসকরা তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, শিশুটির চিকিৎসার চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার বিষয়ে খোঁজ রাখছে পুলিশ।
“তার চিকিৎসার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।”
দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাকিবকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী শিশুটির স্বজনদের ভাষ্য, মঙ্গলবার সকালে পাশের বাড়ির রাকিব শিশুটিকে বাড়ির সামনে থেকে টাকা ও চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘরে নিয়ে যান। এরপর একা ঘরে শিশুটিকে ধর্ষণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
পরে স্বজনরা মেয়েটিকে চরজব্বার থানায় নিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। এরপর পুলিশ শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
শিশুটির মা জানান, মেয়েটির বাবা নৌকায় শ্রমিকের কাজ করেন। পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ; নির্যাতনের শিকার শিশুটির চিকিৎসার সামর্থ্যও নেই তাদের।
এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।