নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে নিখোঁজ প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জিসানের লাশ উদ্ধারের সময় তার পেট কাটা ছিল বলে পরিবার দাবি করেছে।
Published : 10 Jan 2020, 11:21 PM
গত শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর রাজাপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে জিসান ও তার সহকর্মী লিখন সরকার নিখোঁজ হন।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে ৩৫ বছর বয়সী এই প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। লিখন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
জিসানের বড় ভাই মো. শোয়েব আহমেদ বলেন, তার ভাইয়ের লাশ তারা অক্ষত পাননি।
“তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে এবং পেট কাটা রয়েছে। সেখান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার চাই।”
জিসানের ফুপাত ভাই মো. সম্রাট তার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, “অবশ্যই কেউ তাকে হত্যা করেছে। কে বা কারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, প্রশাসন তাদের যেন খুঁজে বরে করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”
তিনি এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রয়োজনে তারা মামলা করবেন।
স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, কী কারণে তার শরীরে আঘাত ও মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজদের স্বজনার জানান, দুই প্রকৌশলী রাজাপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ভেকু মেরামতের কাজ শেষ করে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। তারা দুইজনই ‘বাংলা ক্যাট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এ ঘটনায় সোমবার জিসানের স্ত্রী রাফিয়া সুলতানা ঢাকার আশুলিয়া থানায় জিডি করেন।