ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ১২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
Published : 13 Dec 2019, 04:04 PM
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মৃতদেহ হস্তান্তর শুরু করেন জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. আব্দুল আওয়াল।
তিনি বলেন, দাফন কাফনের জন্য নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে আপতত বিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আর আহতদের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে বিশ হাজার টাকা করে।
বৃহস্পতিবার রাতে যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে, তারা হলেন- কেরানীগঞ্জের আলম (৩৫), পিরোজপুরের জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫), নরসিংদির বাবলু (২৬), নড়াইলের রায়হান বিশ্বাস (১৬), পটুয়াখালীর ইমরান হাওলাদার (১৮), বরিশাল বাকেরগঞ্জের আব্দুল খালেক (৩৫), মাগুরার জিনারুল মোল্লা (৩২), জয়পুরহাটের সুজন দেওয়ান (১৯), মুন্সিগঞ্জ জেলার ফয়সাল দেওয়ান (২৪), টাঙ্গাইলের সালাউদ্দিন (২৬), জয়পুরহাটের ওমর ফারুক (৩২) ও কেরানীগঞ্জের মেহেদী হাসান (২০)।
আরও একজনের পোড়া মরদেহ মর্গে আছে, যার হাতের আংটি দেখে মাহবুব হোসেন বলে শনাক্ত করেছে রংপুরের একটি পরিবার। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানান জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. আব্দুল আওয়াল।
এই ১৩ জন কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার কর্মী ছিলেন। বুধবার বিকালে ওই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তারা দগ্ধ হন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেদিনই কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে মাহবুবের লাশ উদ্ধার করেন। বাকিরা পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই ঘটনায় দগ্ধ আর ১৮ জন হাসপাতালে আছেন। তাদের মধ্যে আটজন বার্ন ইউনিটের এইচডিইউতে এবং ১০ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এছাড়া কর্তৃপক্ষের নিষেধের পরও বৃহস্পতিবার দুর্জয় দাস নামে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ এক যুবককে কেরানীগঞ্জের বাসায় নিয়ে যান তার বাবা মিণ্টু দাস। তার সর্বশেষ অবস্থা জানা যায়নি।